আজকে
আজকে আমার তোমার সাথেহারিয়ে যেতে নেই মানামেঘের সাথে নীল আকাশেমেলে দিলাম এই ডানা।সীমার বাঁধন ছিন্ন করেআজকে ছুটে চলবমেঘের সাথে আমিও আজলুকোচুরি খেলব,যাব আমি নিরুদ্দেশেযেথায় চাঁদের সভা বসেরামধনুর ওই রংগুলি সবআজকে লুটে আনব।
আজকে আমার তোমার সাথেহারিয়ে যেতে নেই মানামেঘের সাথে নীল আকাশেমেলে দিলাম এই ডানা।সীমার বাঁধন ছিন্ন করেআজকে ছুটে চলবমেঘের সাথে আমিও আজলুকোচুরি খেলব,যাব আমি নিরুদ্দেশেযেথায় চাঁদের সভা বসেরামধনুর ওই রংগুলি সবআজকে লুটে আনব।
বৃষ্টির ছাঁট মাথায় পরে উত্তপ্ত রৌদ্রে ছারখার পাবোতো মাথা গোঁজার ঠাই চলছে তো এবার মোদী সরকার। শীত আসে কম্বল নাই হয়ত বা ঠান্ডায় মারা যাই গরীবি তোমরা পরে হঠিও এখন আমার একটা কম্বল দরকার। ডিলার বাবুর মিষ্টি কথায় ‘কিছুই আসেনি রে এই সপ্তায়…’ ফিরে আসি রোজ খালি ড্রাম হাতে তেল আটা গম কোথা পরে থাকে
পড়াশোনার বারোটা বাজিয়ে কিছু শিক্ষক আসেন ইসকুলে, তারা ছাত্রদের আর কী পড়াবেন নিজেরারি সব গেছেন ভুলে! পরীক্ষাতে? ঢালাও নকল, কর যার যা খুশি, আমরা হাজার হাজার মাইনেতে এই মাকাল কেন পুষি? স্কুলে শুধুই আসা-যাওয়া মাঝখানেতে খিচুড়ি খাওয়া, গোলেমালে ফাঁকে তালে যাচ্ছে কেটে দিন- এইভাবে ফাঁকি দিয়ে, মাষ্টার-মশাই চলবে কত দিন?
পড়াশোনার বারোটা বাজিয়ে (অনেক) শিক্ষক আসেন ইস্কুলে, তারা, ছাত্রদের আর কী শেখাবেন? নিজেরাই সব গেছে ভূলে! পরীক্ষাতে? ঢালাও নকল করো যার যা খুশি, আমরা, হাজার হাজার মাইনেতে এই মাকাল কেন পুষি? স্কুলে শুধুই আসা-যাওয়া আর, মাঝে-মধ্যে খিচুড়ি খাওয়া গোলে-মালে ফাঁকে-তালে যাচ্ছে কেটে দিন… এইভাবে ফাঁকি দিয়ে মাষ্টারমশাই চলবে কত দিন?
কত রঙে ছবি আঁকাজীবনের পাতায় পাতায়আঁকব সেসব তুলির টানেআমার কবিতায়।এ হৃদয়ের যত ব্যথাযত দুঃখ মনে গাথালিখব আজি সেসব কথাএই কবিতায়।এ আমার প্রথম কবিতাহায়!সেতো আজ কান্না হয়ে যায়।
একটি বছর পার হয়েআরেক বছর এলোকত কিছুই দিলো সে যেকত কিছুই নিলো।দেওয়া-নেওয়ার খেলায় বছরকখন হল পার,বন্ধু আমি জানাই তোমায়হ্যাপি নিউ ইয়ার।
অসংজ্ঞাত শহর নিস্তব্ধ, নিশ্চূপ, মৃত-প্রায় এখন। শুধু মাঝে মধ্যে ওই দূরে কোথাও কোনও মূমূর্ষ রোগী নিয়ে ছোটে যান… শব যান। আমি বলি ওকে। গ্বহরে গভীর বেদনা, আর মস্তিস্কের ধূসর কোষে সোমত্ত জিদ নিয়ে পাল্লা তার নিয়তির সাথে। ক্রমশ ক্ষীণ… আরও ক্ষীণ হয়ে আসে তার গোঙানি। অবশেষে নিয়তির হবে জয়, সেতো জানি তবুও… তবুও কান পেতে
জীবনের মরুপথে চলতে গিয়ে বুঝিনি মরীচিকার ফাঁকি, তাইতো এ তৃষ্ণা। সময়ের বালুঝড়ে পড়ে গিয়ে দিকভ্রান্ত আমি, তাইতো আজ একা।
তোমরা আমাকে বল…‘তুমি এমন কেন?’‘কত ভালো হত যদি এরকম হতে’‘এইভাবে তুমি চলছনা কেন?’‘তাহলে এত এত সব তুমিও পেতে।’ আমিও কখনও ভাবি…আমি এমন নই কেন?কেন চলিনা আমি এভাবে?সাধেকি আমি হয়ে আছি ছোটো!সে তো আমারই স্বভাবে। সেদিন একটি পত্র পেলাম আমি…তাতে লেখা – ওহে ভাই,তুমি তোমার মত, তুমি আছ তাই।অন্যের সাথে তোমার অমিল যতটুকুতোমার অস্তিত্বের প্রমাণ ততটুকু।
টুপ-টাপ টুপ-টাপঝড়ে চলে অবিরামআমি শুধু জানালায়বসে থাকি চুপ-চাপ। মনে মনে ভেবে চলিওই বুঝি আকাশেভেসে ভেসে বাতাসেকরে কেউ জলকেলি। যেন কোন সুর আসেদূর আরও দূর হতেআঁধারের সাথে সাথেবাতাসের গায়ে ভেসে। টুপ-টাপ টুপ-টাপঝড়ে চলে অবিরামশ্রাবনের সন্ধ্যায়বসে থাকি চুপ-চাপ।
একদিকে মানুষ আর দিকে প্রকৃতি এ যেন অপূর্ব এক যুগল মুরতি, দিয়াছ তোমার দান উজাড় করিয়া সাজায়েছ দুয়ে তুমি পরান ভরিয়া, সৃজিয়াছ দোঁহে তুমি কতনা বাহারে হে বিধাতা বল মোরে পূজিব কাহারে।
মাগো তুমি ভয় করোনাআছে তোমার ছেলেআসুক যতই বিপদ-বাঁধালড়ব অবহেলে,আঁধার রাতের অসুর যতআসুক তারা শত শতদেখবে তুমি লুটাবে সবতোমার চরণ তলে;মাগো তুমি ভয় করোনাআছে তোমার ছেলে।
কিলিয়ে কোনো দিন কাঁঠাল পাকানো যায় না গাধাকে পিটিয়ে ঘোড়া বানানোও যায় না, যে হবার সে এমনিতেই হয়, আপন কাউকে বলে কোনদিন আপন বানানো যায় না।
এখন হতাশা আর ব্যর্থতা ছাড়া কোনও সাথী নেই আমার। সামনে মৃত্যুর গুমোট গন্ধ জড়ানো কালো-আঁধারি ভবিষ্যত। হায় প্রেম! সে তো আজ চোপসানো ফানুস। এই আমি, আছি কি না কে জানে? কতদিন নেই…
ওহে রাস্তা, তুমি কোথার থেকে আস? কোথায় চলে যাও গো তুমি রাত্রে কোথায় থাকো? ওহে রাস্তা, তুমি কোথার থেকে আস? তুমি দেখ কত অচিন অজানা আশ্চর্য সব কলকারখানা পাহাড় নদী মিষ্টি ঝরণা বুড়ো বট পোড়ো মন্দির খানা ( কত ) উত্তরনের সাঁকো। তোমার বুকেই মাড়িয়ে গেছেন মহা মানব যত একটূ দাঁড়াও, সেসব কথা আমায় বল
মা,আমি ঘুমিয়ে ছিলাম ঘুমের দেশেতুমি কেন মা আমায় ভালোবেসেআনলে ডেকে এই ভবেরই মাঝারে?সেথায় আমি একলা ছিলেমএথায় সারা জগৎ পেলেমএকাকীত্বের জগৎ খানি হারায়ে। কল্পনাতীত দিলে মোরেনিজস্বতা উজার করেস্নেহের বাঁধন দিয়ে আমায় জড়ালে,গড়লে আমায় তিলে তিলেআলোর দুয়ার খুলে দিলেচন্দ্র-তারা-জ্যোৎস্না এনে পরালে। মুখে তুমি দিলে ভাষামনের মাঝে লক্ষ আশারপ্রদীপ খানি জ্বালালে,আমার খুশির আলো জ্বেলেজনারন্যে একলা ফেলেবলমা শেষে কোথায়
ছায়া ঘেরা ওই সরু মেঠো পথসোনার বিল তার বায়,দিবস-রজনী গোধূলী-প্রভাতেকেহ আসে কেহ যায়।শুখপুকুর তার ডান দিকে থাকেস্নেহের বাঁধনে বেঁধেছে যে তাকেবয়েছে সে পথ তারই বাঁকে বাঁকেবট বৃক্ষের ছায়।ছায়া ঘেরা ওই মেঠো পথ ধরেকেহ আসে কেহ যায়।
অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপাত আরবাদল বিদায় দিয়ে,বর্ষা শেষে শরৎ এলহিমের পরশ নিয়ে।শিউলি-পদ্ম-কাশফুল আরখুশির ডালা সঙ্গে,আনমনা মন তাইতো আমারনেচে ওঠে আনন্দে।শরৎ মানেই মা আসবেসঙ্গে শুভের আলো,শরৎ এলেই তাইতো আমারলাগে এত ভালো!
কবি হওয়ার স্বপ্ন ছিল মনে ছিল আশা, কিন্তু কোথায় সে কবিত্ব? ছন্দময়ী ভাষা? সুর আসেনা, পারিনা গান নেই কবিতায় ছন্দ, কি যে লিখি ! ছাই পাশ, তায় নেই কবিতার গন্ধ। এক ছত্রও লিখিনা তো শুধুই করি চিন্তা, কবিতার ‘ক’ লিখতে গিয়েই কলম ভাঙ্গে তিনটা। দিনরাত্তির খাতার পাতায় শুধুই বুকি আঁকি, লিখতে বসে দেখি আজ তার
কান্না হাসির এই দুনিয়ায় কেউ কাঁদে কেউ হাসে, হাসি-কান্নার মাঝে সবাই জীবন ভালবাসে। সুখ-দুঃখের পৃথিবীটা কেউ সুখি কেউ দূখী, এরই মাঝে নানান সাজে জীবন বহুমুখী। ভালো থকলে মন্দ থাকবে সবাই সেটা জানে, কর্ম নির্দোষ, তবুও মানুষ ভালো-মন্দ মানে।
যখন ছিলাম কাছে বুঝিনি তোমাকে, অন্তরে তোমার কত ভালোবাসা লুকানো আছে। আজ এ প্রভাতে প্রথম আলোতে কাকলী-কূজনে মিষ্টি সুরেতে দূর হতে দূরের প্রভাত সঙ্গীতে নিশীথ প্রভাতের মিলন ক্ষণেতে তোমায় জেনেছি বুঝেছি তোমাকে। অন্তরে তোমার এত ভালোবাসা লুকানো আছে!
সবাই শুধু বাসবে ভালোকারও ঘৃনার পাত্র হবনা,সবার কাছেই পাব আদরআঘাত কারও কাছে পাব না;মণি হব সবার চোখেরহবনা কারও চোখের কাঁটা,সবাই শুধু ভালোই বলবেএসব কথা ভাবাই বৃথা।
যত পাই তত চাই যত চাই তত পাইনা, তবুও চাই। চাওয়া-পাওয়া-চাওয়া… শেষ নেই এ মৃগ-তৃষ্ণার পরিসমাপ্তি কিসে?
চাঁদের মত হাসতে শেখোসবে ভালো বাসতে শেখোসত্যি কথা বলতে শেখোভক্তি শ্রদ্ধা করতে শেখোসূর্য সম জ্বলতে শেখোবায়ুর বেগে চলতে শেখোস্ব-সন্মানে বাঁচতে শেখোবীরের মত মরতে শেখো। ( অনুদিত)
কখনও কখনও অন্ধকারটা বড় ভালো লাগে, ভালো লাগে নিজেকে ছোট ভাবতে; মনেহয়, না পাওয়াটাই আনন্দের। জানিনা এ কেমন ভালো লাগা!
বন্ধু, তোমার কথা আজ পড়ছে বড়ই মনে,কত দিন হল দেখিনি তোমায়, কথা নেই দুইজনে।সেই যে তুমি বলেছিলে মোরে, ‘ভুলবনা কোনও দিন’;হৃদয়ের বাঁধনে বাঁধা আছি তায়, আজন্ম, চিরদিন।জানিনা তুমি আছহ কেমন, আছ কি সেই তেমন?যেমনি আমি এসেছি দেখে, ঘাস ফুলটির মতন?আজও কি তুমি মনে কর আমায়? জ্যোৎস্না মায়ের কোলেবসে কি ভাবো? বন্ধু তোমার কোথায় গেছে চলে।আলো
তোমরা থাকো ছাদের তলায়আমরা আকাশ তলেকষ্ট করি দিন রাত্তিররোদ-বৃষ্টি-জলে। তোমরা খাও চপ-কাটলেটফ্রায়ড-রাইস খাসি,আমরা না হয় দু-এক বেলাথাকি উপবাসী। তোমরা পর দামী পোশাকচড় এসি গাড়ি,আমরা না হয় মাঝে-মধ্যেতাতেই চাপা পড়ি। তোমরা সবাই বড় মানুষফিটবাবু সব যত,আমরা না হয় মুখ্য-সুখ্যচাষা গোঁয়ার যত। তোমরা দেখ দামী লেন্সেজীবনটা রঙিন,আমরা দেখি খাদ্য ছাড়াবাঁচাটাই সঙ্গীন।
তুমি চেনো কি আমার গ্রাম?যেথা শান্ত স্নিগ্ধ সবুজের কোল,তার উদয় নগর নাম। সকাল বেলা হলেসেথা গুরুমাষ্টারের পাঠশালা বসেবট-কাঁঠালের তলে,আর বুড়োদের চায়ের আসরে মাতেফটিকের চায়ের দোকান,যেথা শান্তির ধাম, আনন্দাধারতাঁর, উদয় নগর নাম। তুমি চেনো কি আমার গ্রাম?যা পূণ্যভূমি, আমার স্বর্গতাঁর উদয় নগর নাম। সেথা সন্ধ্যা বেলা হলেমেঠো পথ ধরে উড়িয়ে ধূলোচাষীরা ফেরে ঘরে,ঘরে ঘরে জ্বলে ধূপ-দীপ
বৃষ্টি এলো সন্ধ্যে বেলায়ঝম্ ঝম্ ঝম্ অঝর ধারায়,রায় বাড়ির ওই চালের ফাঁকেপায়রারা সব লুকিয়ে থাকে,রাতের আগেই নামল আঁধারমোদের ছোটো গাঁয়। বৃষ্টি এলো সন্ধ্যে বেলায়মোদের ছোটো গাঁয়।
একটা ছিল পুকুর,গরম কালের দুপুর,সেই পুকুরের জলেতেহাঁস গুলি সব খেলছিল। আরও একটা গাছ ছিল।সেই গাছেরই ডালেতেপাখিরা সব নাচছিল,মিষ্টি সুরে গাইছিল। একটা ছিল গ্রাম‘উদয় নগর’ নাম,সেই গ্রামের মাঝদিয়েএকটি বাঁকা পথ ছিল। আরও একটা মাঠ ছিল।সেই মাঠেরই জমিতেসোনার রঙের ধান ছিল,দখিন হাওয়ায় দুলছিল।