মানুষ ও প্রকৃতি
একদিকে মানুষ আর দিকে প্রকৃতি এ যেন অপূর্ব এক যুগল মুরতি, দিয়াছ তোমার দান উজাড় করিয়া সাজায়েছ দুয়ে তুমি পরান ভরিয়া, সৃজিয়াছ দোঁহে তুমি কতনা বাহারে হে বিধাতা বল মোরে পূজিব কাহারে।
একদিকে মানুষ আর দিকে প্রকৃতি এ যেন অপূর্ব এক যুগল মুরতি, দিয়াছ তোমার দান উজাড় করিয়া সাজায়েছ দুয়ে তুমি পরান ভরিয়া, সৃজিয়াছ দোঁহে তুমি কতনা বাহারে হে বিধাতা বল মোরে পূজিব কাহারে।
মাগো তুমি ভয় করোনাআছে তোমার ছেলেআসুক যতই বিপদ-বাঁধালড়ব অবহেলে,আঁধার রাতের অসুর যতআসুক তারা শত শতদেখবে তুমি লুটাবে সবতোমার চরণ তলে;মাগো তুমি ভয় করোনাআছে তোমার ছেলে।
এখন হতাশা আর ব্যর্থতা ছাড়া কোনও সাথী নেই আমার। সামনে মৃত্যুর গুমোট গন্ধ জড়ানো কালো-আঁধারি ভবিষ্যত। হায় প্রেম! সে তো আজ চোপসানো ফানুস। এই আমি, আছি কি না কে জানে? কতদিন নেই…
ওহে রাস্তা, তুমি কোথার থেকে আস? কোথায় চলে যাও গো তুমি রাত্রে কোথায় থাকো? ওহে রাস্তা, তুমি কোথার থেকে আস? তুমি দেখ কত অচিন অজানা আশ্চর্য সব কলকারখানা পাহাড় নদী মিষ্টি ঝরণা বুড়ো বট পোড়ো মন্দির খানা ( কত ) উত্তরনের সাঁকো। তোমার বুকেই মাড়িয়ে গেছেন মহা মানব যত একটূ দাঁড়াও, সেসব কথা আমায় বল
মা,আমি ঘুমিয়ে ছিলাম ঘুমের দেশেতুমি কেন মা আমায় ভালোবেসেআনলে ডেকে এই ভবেরই মাঝারে?সেথায় আমি একলা ছিলেমএথায় সারা জগৎ পেলেমএকাকীত্বের জগৎ খানি হারায়ে। কল্পনাতীত দিলে মোরেনিজস্বতা উজার করেস্নেহের বাঁধন দিয়ে আমায় জড়ালে,গড়লে আমায় তিলে তিলেআলোর দুয়ার খুলে দিলেচন্দ্র-তারা-জ্যোৎস্না এনে পরালে। মুখে তুমি দিলে ভাষামনের মাঝে লক্ষ আশারপ্রদীপ খানি জ্বালালে,আমার খুশির আলো জ্বেলেজনারন্যে একলা ফেলেবলমা শেষে কোথায়
ছায়া ঘেরা ওই সরু মেঠো পথসোনার বিল তার বায়,দিবস-রজনী গোধূলী-প্রভাতেকেহ আসে কেহ যায়।শুখপুকুর তার ডান দিকে থাকেস্নেহের বাঁধনে বেঁধেছে যে তাকেবয়েছে সে পথ তারই বাঁকে বাঁকেবট বৃক্ষের ছায়।ছায়া ঘেরা ওই মেঠো পথ ধরেকেহ আসে কেহ যায়।
অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপাত আরবাদল বিদায় দিয়ে,বর্ষা শেষে শরৎ এলহিমের পরশ নিয়ে।শিউলি-পদ্ম-কাশফুল আরখুশির ডালা সঙ্গে,আনমনা মন তাইতো আমারনেচে ওঠে আনন্দে।শরৎ মানেই মা আসবেসঙ্গে শুভের আলো,শরৎ এলেই তাইতো আমারলাগে এত ভালো!
কবি হওয়ার স্বপ্ন ছিল মনে ছিল আশা, কিন্তু কোথায় সে কবিত্ব? ছন্দময়ী ভাষা? সুর আসেনা, পারিনা গান নেই কবিতায় ছন্দ, কি যে লিখি ! ছাই পাশ, তায় নেই কবিতার গন্ধ। এক ছত্রও লিখিনা তো শুধুই করি চিন্তা, কবিতার ‘ক’ লিখতে গিয়েই কলম ভাঙ্গে তিনটা। দিনরাত্তির খাতার পাতায় শুধুই বুকি আঁকি, লিখতে বসে দেখি আজ তার
কান্না হাসির এই দুনিয়ায় কেউ কাঁদে কেউ হাসে, হাসি-কান্নার মাঝে সবাই জীবন ভালবাসে। সুখ-দুঃখের পৃথিবীটা কেউ সুখি কেউ দূখী, এরই মাঝে নানান সাজে জীবন বহুমুখী। ভালো থকলে মন্দ থাকবে সবাই সেটা জানে, কর্ম নির্দোষ, তবুও মানুষ ভালো-মন্দ মানে।
যখন ছিলাম কাছে বুঝিনি তোমাকে, অন্তরে তোমার কত ভালোবাসা লুকানো আছে। আজ এ প্রভাতে প্রথম আলোতে কাকলী-কূজনে মিষ্টি সুরেতে দূর হতে দূরের প্রভাত সঙ্গীতে নিশীথ প্রভাতের মিলন ক্ষণেতে তোমায় জেনেছি বুঝেছি তোমাকে। অন্তরে তোমার এত ভালোবাসা লুকানো আছে!
সবাই শুধু বাসবে ভালোকারও ঘৃনার পাত্র হবনা,সবার কাছেই পাব আদরআঘাত কারও কাছে পাব না;মণি হব সবার চোখেরহবনা কারও চোখের কাঁটা,সবাই শুধু ভালোই বলবেএসব কথা ভাবাই বৃথা।
চাঁদের মত হাসতে শেখোসবে ভালো বাসতে শেখোসত্যি কথা বলতে শেখোভক্তি শ্রদ্ধা করতে শেখোসূর্য সম জ্বলতে শেখোবায়ুর বেগে চলতে শেখোস্ব-সন্মানে বাঁচতে শেখোবীরের মত মরতে শেখো। ( অনুদিত)
কখনও কখনও অন্ধকারটা বড় ভালো লাগে, ভালো লাগে নিজেকে ছোট ভাবতে; মনেহয়, না পাওয়াটাই আনন্দের। জানিনা এ কেমন ভালো লাগা!
বন্ধু, তোমার কথা আজ পড়ছে বড়ই মনে,কত দিন হল দেখিনি তোমায়, কথা নেই দুইজনে।সেই যে তুমি বলেছিলে মোরে, ‘ভুলবনা কোনও দিন’;হৃদয়ের বাঁধনে বাঁধা আছি তায়, আজন্ম, চিরদিন।জানিনা তুমি আছহ কেমন, আছ কি সেই তেমন?যেমনি আমি এসেছি দেখে, ঘাস ফুলটির মতন?আজও কি তুমি মনে কর আমায়? জ্যোৎস্না মায়ের কোলেবসে কি ভাবো? বন্ধু তোমার কোথায় গেছে চলে।আলো
তোমরা থাকো ছাদের তলায়আমরা আকাশ তলেকষ্ট করি দিন রাত্তিররোদ-বৃষ্টি-জলে। তোমরা খাও চপ-কাটলেটফ্রায়ড-রাইস খাসি,আমরা না হয় দু-এক বেলাথাকি উপবাসী। তোমরা পর দামী পোশাকচড় এসি গাড়ি,আমরা না হয় মাঝে-মধ্যেতাতেই চাপা পড়ি। তোমরা সবাই বড় মানুষফিটবাবু সব যত,আমরা না হয় মুখ্য-সুখ্যচাষা গোঁয়ার যত। তোমরা দেখ দামী লেন্সেজীবনটা রঙিন,আমরা দেখি খাদ্য ছাড়াবাঁচাটাই সঙ্গীন।
তুমি চেনো কি আমার গ্রাম?যেথা শান্ত স্নিগ্ধ সবুজের কোল,তার উদয় নগর নাম। সকাল বেলা হলেসেথা গুরুমাষ্টারের পাঠশালা বসেবট-কাঁঠালের তলে,আর বুড়োদের চায়ের আসরে মাতেফটিকের চায়ের দোকান,যেথা শান্তির ধাম, আনন্দাধারতাঁর, উদয় নগর নাম। তুমি চেনো কি আমার গ্রাম?যা পূণ্যভূমি, আমার স্বর্গতাঁর উদয় নগর নাম। সেথা সন্ধ্যা বেলা হলেমেঠো পথ ধরে উড়িয়ে ধূলোচাষীরা ফেরে ঘরে,ঘরে ঘরে জ্বলে ধূপ-দীপ
বৃষ্টি এলো সন্ধ্যে বেলায়ঝম্ ঝম্ ঝম্ অঝর ধারায়,রায় বাড়ির ওই চালের ফাঁকেপায়রারা সব লুকিয়ে থাকে,রাতের আগেই নামল আঁধারমোদের ছোটো গাঁয়। বৃষ্টি এলো সন্ধ্যে বেলায়মোদের ছোটো গাঁয়।
একটা ছিল পুকুর,গরম কালের দুপুর,সেই পুকুরের জলেতেহাঁস গুলি সব খেলছিল। আরও একটা গাছ ছিল।সেই গাছেরই ডালেতেপাখিরা সব নাচছিল,মিষ্টি সুরে গাইছিল। একটা ছিল গ্রাম‘উদয় নগর’ নাম,সেই গ্রামের মাঝদিয়েএকটি বাঁকা পথ ছিল। আরও একটা মাঠ ছিল।সেই মাঠেরই জমিতেসোনার রঙের ধান ছিল,দখিন হাওয়ায় দুলছিল।
ফুল হয়ে হাসা জীবন হেসে দুঃখ ভোলা জীবন জিতে গিয়ে সবাই খুশি? তো কি হয়েছে, হেরে গিয়ে আনন্দ করাটাও জীবন। (৫ জুলাই, ২০১০) যাওয়া আসা আসা যাওয়া চলছে জগৎ ময়, এরই মাঝের সময়টুকু জীবন তারে কয়। (২৫ অক্টোবর, ২০১০) অনন্ত এই আকাশ অনন্ত এই তারা অনন্ত এই সময় মধ্যে অনন্ত প্রেমধারা। (২৫ অক্টোবর, ২০১০) আমি
তুই নাকি মা পরম স্নেহময়ী সবার প্রিয় তোর আদরের ছেলে, তবে আমায় কেমনে ভুলে রলি বলমা আমায় কেমনে দিলি ফেলে? হতে পারি শত অপরাধী তবুও মা আমি তো তোর ছেলে? ভাবতে পারিস সাজা দিছিস তুই করে আমায় মায়ের আদর হারা, কিন্তু আমি নইত তেমন তর তাড়িয়ে দিলেই চলে যাবে যারা। চোখ বুজলেই পাইযে তোরে কাছে
জন্ম হতেই জীবন শুরুশুরু পথের চলা,প্রেম হল তার অংশ বিশেষসৌন্দর্য তার কলা।জীবনের সমাপ্তি হলেমৃত্যু তারে কয়,বন্ধুত্ব আর ভালবাসাকিন্তু অমর রয়।
এক নতুন সুপ্রভাতের স্বপ্নদেখি রাতে,এক নতুন পথে চলব বলেইচলি পথে।এক নতুন কথা শুনব বলেশুনি কথা,এক নতুন কথা বলব বলেইবলি কথা। চলতে চলতে জানি আমিপাবই নতুন পথশুনব নতুন কথা;নতুন জীবন-সূর্য উঠবে জেগেসে আলোকেমেলাবে সব ব্যাথা।
ভালবাসা যদি পাপ হত তাহলে ফুল ফুটত না, ভালবাসা যদি বাঁধা মানত তবে বসন্ত আসত না। ভালবাসা যদি কলঙ্ক হত তবে হাসত না ওই শশী, ভালবাসা যদি ক্ষণিকের হত তবে রবী ছড়াতনা রশ্মী। ভালবাসা যদি ভালো না হবে তবে কেন যিশু চৈতন্য কবীর? ভালবাসাই পারে মুক্তি আনতে একবিংশ শতাব্দীর।
পৃথিবিটা জানি শান্তির স্বর্গরাজ্য নয় আর… চারিদিকে শুধু ছোটো করে বড় হবার এ এক অমানুষিক অপচেষ্টা। পৃথিবিটা জানি স্বপ্নের দেশ নয় আর… দুঃস্বপ্নের ভয়ংকর প্রেত এখন হানা দেয় বাস্তবেও। আকাশটা জানি ঠিক নীল নয়তো আর… বিষাক্ত মৃত্যুবীজ ভাসছে সেখানেও। ধোঁয়াটে সে। বহু কোটি শত পাপে জর্জরিত ধরা আর কত কাল? এবার মুক্তি চাই, মানুষ চাই।
ওকে দেখলেই আমার শুধু হাসি পেত। শত ব্যাস্ততার মধ্যেও যতবার ওর মুখোমুখি হয়েছি, চোখে চোখ পড়েছে আমার ঠোঁট দুটো বেঁকে গিয়ে ‘সেই হাসি’ চলেই আসত কেন জানিনা এখনও। ওর চোখে ঠিক কি ছিল কে জানে? জিজ্ঞেস করব করব করেও করা হয়নি। আর হয়তো কোন দিন, দৈবে দেখা হলে, স্টেশনে, টারমিনাসে… হবে কি? যদিও সময় পেরিয়ে
সবুজ মাঠের কোলেমাথা দুলে দুলে,ডাকছে আমায় সবুজ ঘাসআয় ছুটে আয় চলে। মুচকি হেসে ডাকে যখনআকাশের ওই তারা,আমি তখন আপন মনেআনন্দে হই হারা। মিষ্টি সুরে ভোরেরে পাখিযখন করে গান,শিশির জমা ঘাসের তালেনাচে আমার প্রাণ।
এক ডাক্তারের কাহিনি ওনার মুখেই শুনি- “আমি নিজে ডাক্তার যেখানে বউ আমার নার্স সেখানে। এ কেমন কষ্ট আমাকে সইতে হয় নিজেরই বউকে ‘সিস্টার’ কইতে হয়।
আমি খুঁজে দেখেছি ভাই- এই দুনিয়ায় সবই ভেজাল তুমিও ভেজাল আমিও ভেজাল রামও ভেজাল শ্যামও ভেজাল চালের ভেতর কাঁকড় ভেজাল দুধের ভেতর জলের ভেজাল গানের ভেতর রিমিক্স ভেজাল গল্পকারের গল্পে ভেজাল ( আরও ) কবির কাব্যে ভেজাল ভালোবাসা? তাতেও ভেজাল। ভেজাল ছাড়া এই দুনিয়ায় আরতো কিছুই নাই।
কিছু পেতে হলে কিছু তো দিতে হবেই তাই বলে কি পেতে যাব না? ভালোবাসায় দুঃখ তো থাকবেই তাই বলে কি ভালো বাসব না? সুখ-দুঃখ পাওয়া-না পাওয়া নিয়েই এই পৃথিবী, এই জীবন।
কোনো কিছু করতে গিয়ে ভূল যদি হয়, হোক না। কোনো কিছু গড়তে গিয়ে ভাঙে যদি, ভাঙ্গুক না। সেই ভূল ও ভাঙার মধ্যদিয়েই আমরা এগিয়ে যাব সত্য ও সৃষ্টির দিকে।