বৃষ্টি এলো
বৃষ্টি এলো সন্ধ্যে বেলায়ঝম্ ঝম্ ঝম্ অঝর ধারায়,রায় বাড়ির ওই চালের ফাঁকেপায়রারা সব লুকিয়ে থাকে,রাতের আগেই নামল আঁধারমোদের ছোটো গাঁয়। বৃষ্টি এলো সন্ধ্যে বেলায়মোদের ছোটো গাঁয়।
বৃষ্টি এলো সন্ধ্যে বেলায়ঝম্ ঝম্ ঝম্ অঝর ধারায়,রায় বাড়ির ওই চালের ফাঁকেপায়রারা সব লুকিয়ে থাকে,রাতের আগেই নামল আঁধারমোদের ছোটো গাঁয়। বৃষ্টি এলো সন্ধ্যে বেলায়মোদের ছোটো গাঁয়।
একটা ছিল পুকুর,গরম কালের দুপুর,সেই পুকুরের জলেতেহাঁস গুলি সব খেলছিল। আরও একটা গাছ ছিল।সেই গাছেরই ডালেতেপাখিরা সব নাচছিল,মিষ্টি সুরে গাইছিল। একটা ছিল গ্রাম‘উদয় নগর’ নাম,সেই গ্রামের মাঝদিয়েএকটি বাঁকা পথ ছিল। আরও একটা মাঠ ছিল।সেই মাঠেরই জমিতেসোনার রঙের ধান ছিল,দখিন হাওয়ায় দুলছিল।
ফুল হয়ে হাসা জীবন হেসে দুঃখ ভোলা জীবন জিতে গিয়ে সবাই খুশি? তো কি হয়েছে, হেরে গিয়ে আনন্দ করাটাও জীবন। (৫ জুলাই, ২০১০) যাওয়া আসা আসা যাওয়া চলছে জগৎ ময়, এরই মাঝের সময়টুকু জীবন তারে কয়। (২৫ অক্টোবর, ২০১০) অনন্ত এই আকাশ অনন্ত এই তারা অনন্ত এই সময় মধ্যে অনন্ত প্রেমধারা। (২৫ অক্টোবর, ২০১০) আমি
তুই নাকি মা পরম স্নেহময়ী সবার প্রিয় তোর আদরের ছেলে, তবে আমায় কেমনে ভুলে রলি বলমা আমায় কেমনে দিলি ফেলে? হতে পারি শত অপরাধী তবুও মা আমি তো তোর ছেলে? ভাবতে পারিস সাজা দিছিস তুই করে আমায় মায়ের আদর হারা, কিন্তু আমি নইত তেমন তর তাড়িয়ে দিলেই চলে যাবে যারা। চোখ বুজলেই পাইযে তোরে কাছে
জন্ম হতেই জীবন শুরুশুরু পথের চলা,প্রেম হল তার অংশ বিশেষসৌন্দর্য তার কলা।জীবনের সমাপ্তি হলেমৃত্যু তারে কয়,বন্ধুত্ব আর ভালবাসাকিন্তু অমর রয়।
বন্ধুত্ব আর ভালবাসা Read More »
এক নতুন সুপ্রভাতের স্বপ্নদেখি রাতে,এক নতুন পথে চলব বলেইচলি পথে।এক নতুন কথা শুনব বলেশুনি কথা,এক নতুন কথা বলব বলেইবলি কথা। চলতে চলতে জানি আমিপাবই নতুন পথশুনব নতুন কথা;নতুন জীবন-সূর্য উঠবে জেগেসে আলোকেমেলাবে সব ব্যাথা।
ভালবাসা যদি পাপ হত তাহলে ফুল ফুটত না, ভালবাসা যদি বাঁধা মানত তবে বসন্ত আসত না। ভালবাসা যদি কলঙ্ক হত তবে হাসত না ওই শশী, ভালবাসা যদি ক্ষণিকের হত তবে রবী ছড়াতনা রশ্মী। ভালবাসা যদি ভালো না হবে তবে কেন যিশু চৈতন্য কবীর? ভালবাসাই পারে মুক্তি আনতে একবিংশ শতাব্দীর।
ভালবাসা যদি পাপ হত Read More »
পৃথিবিটা জানি শান্তির স্বর্গরাজ্য নয় আর… চারিদিকে শুধু ছোটো করে বড় হবার এ এক অমানুষিক অপচেষ্টা। পৃথিবিটা জানি স্বপ্নের দেশ নয় আর… দুঃস্বপ্নের ভয়ংকর প্রেত এখন হানা দেয় বাস্তবেও। আকাশটা জানি ঠিক নীল নয়তো আর… বিষাক্ত মৃত্যুবীজ ভাসছে সেখানেও। ধোঁয়াটে সে। বহু কোটি শত পাপে জর্জরিত ধরা আর কত কাল? এবার মুক্তি চাই, মানুষ চাই।
ওকে দেখলেই আমার শুধু হাসি পেত। শত ব্যাস্ততার মধ্যেও যতবার ওর মুখোমুখি হয়েছি, চোখে চোখ পড়েছে আমার ঠোঁট দুটো বেঁকে গিয়ে ‘সেই হাসি’ চলেই আসত কেন জানিনা এখনও। ওর চোখে ঠিক কি ছিল কে জানে? জিজ্ঞেস করব করব করেও করা হয়নি। আর হয়তো কোন দিন, দৈবে দেখা হলে, স্টেশনে, টারমিনাসে… হবে কি? যদিও সময় পেরিয়ে
সবুজ মাঠের কোলেমাথা দুলে দুলে,ডাকছে আমায় সবুজ ঘাসআয় ছুটে আয় চলে। মুচকি হেসে ডাকে যখনআকাশের ওই তারা,আমি তখন আপন মনেআনন্দে হই হারা। মিষ্টি সুরে ভোরেরে পাখিযখন করে গান,শিশির জমা ঘাসের তালেনাচে আমার প্রাণ।
এক ডাক্তারের কাহিনি ওনার মুখেই শুনি- “আমি নিজে ডাক্তার যেখানে বউ আমার নার্স সেখানে। এ কেমন কষ্ট আমাকে সইতে হয় নিজেরই বউকে ‘সিস্টার’ কইতে হয়।
এক ডাক্তারের কাহিনি Read More »
আমি খুঁজে দেখেছি ভাই- এই দুনিয়ায় সবই ভেজাল তুমিও ভেজাল আমিও ভেজাল রামও ভেজাল শ্যামও ভেজাল চালের ভেতর কাঁকড় ভেজাল দুধের ভেতর জলের ভেজাল গানের ভেতর রিমিক্স ভেজাল গল্পকারের গল্পে ভেজাল ( আরও ) কবির কাব্যে ভেজাল ভালোবাসা? তাতেও ভেজাল। ভেজাল ছাড়া এই দুনিয়ায় আরতো কিছুই নাই।
বন্ধু, জীবনে যদি দুঃখের বোঝা বইতে বইতে আর বইতে না পারো তবে তখন আমায় ডেকো, যদি কখনও কষ্ট সইতে সইতে আর সইতে না পারো তবে তখন আমায় বোলো। বন্ধু বলে ডাকার এটুকু অধিকার অন্তত আমাকে দিও।
কিছু পেতে হলে কিছু তো দিতে হবেই তাই বলে কি পেতে যাব না? ভালোবাসায় দুঃখ তো থাকবেই তাই বলে কি ভালো বাসব না? সুখ-দুঃখ পাওয়া-না পাওয়া নিয়েই এই পৃথিবী, এই জীবন।
কোনো কিছু করতে গিয়ে ভূল যদি হয়, হোক না। কোনো কিছু গড়তে গিয়ে ভাঙে যদি, ভাঙ্গুক না। সেই ভূল ও ভাঙার মধ্যদিয়েই আমরা এগিয়ে যাব সত্য ও সৃষ্টির দিকে।
দিনের পরে রাত্রি আসে কেন?নতুন দিন আসবে বলে।জীবন যদি, মরণ তবে কেন?নতুন জীবন পাব বলে। ভালো যদি মন্দ তবু কেন?আবার ভালো হবে বলে।সুখ যদি, দুঃখ তবে কেন?আবার সুখ আসবে বলে। হাসির পরে কান্না আসে কেন?আবার মোরা হাসব বলে।আশা যদি, হতাশ তবে কেন?আবার আশা করব বলে। পেলে পরে হারাই তবে কেন?আবার মোরা পাব বলে।শুরু হলে শেষ
জীবনটা শুধু নেবার জন্যই নয় কিছু দেবার জন্যও, কর্ম শুধু নিজের জন্যই নয় পরের জন্যও। অথচ আমরা এই সহজ কথাগুলো কত সহজেই না ভূলে যাই!
দুঃখে ভরা পৃথিবী। চারিদিকে ঘোর অন্ধকার। শুধু হিংসা-প্রতিহিংসার খেলা। কোথাও একটু ভালবাসা নেই কারও জন্য। তবুও প্রকৃতির নিয়মে সূর্য ওঠে, পাখি ডাকে।
প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে একটা অসুর থাকে, তাকে মেরে ফেলতে হয়। তা নইলে সে মানুষ আর মানুষ থাকেনা, অসুর হয়ে যায়। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে একজন দেবতা থাকেন, তাকে খুঁজে নিতে হয়। আর একবার তাঁকে পেয়ে গেলে সে মানুষ আর মানুষ থাকেনা, দেবতা হয়ে যায়।
একযে আছে আজব প্রাণীএই পৃথিবীর বুকে,শহর-গ্রামে বন-বাদাড়েবেড়ায় লুটে-পুটে।জল-জঙ্গল মানে না সেমহাকাশেও ওড়ে,জানো নাকি তারা আবারচাঁদের ওপর চড়ে।
এগিয়ে চল এগিয়ে চলআমি আছি সাথেসু-শীতল সমীরণবলিছে আমাকে,আসুক যতই বাধাচলার এ-পথেআপন বলেতে তুমিজয় করো তাকে;সত্যের বলে তুমিহও বলিয়ানপ্রভাতের সুর তুমি,হে নব পরাণ। ভয় নেই ভয় নেইআমি আছি সাথেপ্রভাতের সূর্যবলিছে আমাকে,অন্ধকারে কিবা ডর?হোক না তা কালো…রয়েছে তোমার কাছেজীবনের আলো;আপন দ্যুতিতে তুমিহও দ্যুতিময়মনে রেখো-জীবনের হবে জয়।
পূজো মানে বন্ধ পড়াপূজো মানে ছুটি,বছর শেষে সবাই আবারএকখানেতে জুটি। পূজো মানে ঢাকের বাড়িঢ্যাম কুর কুর কুর,পূজো মানে হই হল্লাআনন্দে ভরপুর। পূজো মানে মাকে দেখাএকটি বছর পর,পূজো মানে সবাই আপননইতো কেহ পর। পূজো মানে ঘোরাফেরানতুন কাপড়-জামা,পূজো মানে সবাই স্বাধীননেইতো কোনও মানা। পূজো মানে শিউলির ঘ্রাণ আরসাদা কাশের ফুল,পূজো মানে বিজয়াতেবেদনায় আকুল!
কেবা আমার কাছের মানুষসবার চেয়ে বেশি আপন,কেবা আমার জন্মদাত্রীকরেছে কে লালন পালন?আমার একটু ঘুমের জন্যঘুম নেই কার চোখে রে?সে যে আমার মা জননীআমার মাতৃ-দেবী রে। কেবা আমার সুখে সুখীদূখী আমার দুঃখেতে,নিজে থেকে উপবাসীখাওয়ায় কেবা আমাকে?রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে দাঁড়াইকার আঁচলের ছায়ায় রে?সে যে পরম স্নেহময়ীআমার মাতৃ-দেবী রে। কার পদতলে নির্বাণ হয়এ জীবনের সকল দুঃখ,কার বুকের মাঝে মুখ লুকিয়েস্বর্গের
এখনও তোমার স্মৃতি আমার মনের ভেতর ভাসে। আমার মনের চোখ দিয়ে তোমাকে দেখতে পাই ঠিক আগের মতই। সেই কবে… কোন এক স্বপ্ন মাখানো সকালে ভাসতে ভাসতে এসেছিলে আমার মনের আকাশে। পুঞ্জীভূত মেঘের মত। সারাটা দুপুর ভেসে বেড়িয়েছ, খেলেছ আলো-ছায়ার লুকোচুরি খেলা। শুনিয়েছ কত ভালোবাসার গল্প, দেখিয়েছ কত স্বপ্ন, জাগিয়েছ কত আশা। তারপর? তারপর একদিন সব
বৃষ্টি হয়ে নেমে গেছ Read More »
শুনেছি, পৃথিবীতে নাকি এখন অনেক মানুষ। কিন্তু, চারিদিকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তো আমি একজন মানুষেরও দেখা পেলাম না। শুধু, হিংসা-নিন্দা-কলহ আর বিবাদে পরিপূর্ণ এই পৃথিবী।দুনিয়াটা এখন শুধু অমানুষের রাজত্ব। তাই মনে প্রশ্ন জাগে মানুষ কোথায়?
দুপুর গড়ায়, বিকেল নেমে আসে; পশ্চিম আকাশে সূর্য এগিয়ে যায় দিগন্তের আরও কাছে। সেই সকাল থেকে সে শুরু করেছে তার এগিয়ে চলার যাত্রা, তার পর আর থেমে নেই। এর মাঝে কখন যে কেটে গেছে দুপুর, কতবার মেঘে ঢাকা পরে গেছে তার আলো, তবুও থেমে নেই তার চলার গতি। আর এই গতিই তো তাকে ঠেলতে ঠেলতে
পাগলে কি না বলে?ছাগলে কি না খায়?কথা গুলো আজকালপ্রায়ঃশই শোনা যায়। জবাব আমি দিচ্ছি তোমায়শুনে রাখো তাহলেদেখেছো কি কোনও দিনঘুষ খায় ছাগলে? রাজনৈতিক নেতাগনমিথ্যাকথা যা বলে,একটাও তার কোনোদিনবলেছে কি পাগলে?
গ্রামের কথা বলব তোমায়মনে আমার আশা,বলতে গেলে সে কথা যেপাইনা খুঁজে ভাষা। গ্রামে আছে শান্ত স্নিগ্ধসবুজেরই মেলা,গ্রামের মাঠে দেখতে পাবেগোল্লাছুটের খেলা। সেথায় নিতুই ঘাসের আগায়শিশির কণা জমে,রোজ সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায়পাখির কলতানে। গ্রামকে ভালোবাসি আমিগ্রাম-ই আমার মিতা,গ্রামের বুকেই যেন জ্বলেআমার শেষের চিতা।
ওইখানে ওই নদীর পাড়েকদম গাছের ছায়,অবাধ মনটি আমার শুধুহোথায় চলে যায়।সেথায় আছে শাপলা শালুকসাড়স শালিক চড়ুই কত,টুনটুনি আর কোকিল তারানাচে গায় অ-বিরত,গান গেয়ে যে মাঝি ভায়াপাড়ের খেয়া বায়।মন যে আমার রয়না ঘরেসেথায় চলে যায়। কুলু কুলু শব্দে সেথায়বয়ে চলে নদী,সব মিলিয়ে সেথায় যে একস্বপ্ন মাখা ছবি।দূরে দূরে মেঘের মেলাতারই মাঝে ভাসিয়ে ভেলামন যে আমার ছুটে
বাড়িতে বসেনা মন পড়াশোনা অকারণ পড়ালেখা করে লাভ হবে কী? লেখা পড়া করে যেই গাড়ি চাপা পড়ে সেই জানোনা কি তুমি এই কথাটি? মনে তাই ভেবেছি প্লান করে ফেলেছি যাব আমি বৃন্দাবন ধাম। মধুর বৃন্দাবনে গিয়ে দীক্ষা-শিক্ষা-মন্ত্র নিয়ে জপ করব ‘জয় রাধে’ নাম।